Ads

সেই ছেলেটি………………


আসসালামুয়ালাইকুম সবাইকে। এই প্রথম স্কুল এর ম্যাগাজিনের জন্য কিছু লিখলাম। ভাবলাম এইবার তো ১০ম শ্রেণিতে। তাই কিছু স্মৃতি রেখে যাই স্কুলের ম্যাগাজিনে । চলুন আজকে আপনাদের একটা ছোট ছেলের গল্প বলি। ভাববেন না যে গল্পটি বানানো। গল্পটি একটি ছেলের সত্যিকারের জীবনের গল্প।

এক ছেলে আছে। নামটা পরে  বলব। ছেলেটা যখন  তৃতীয় শ্রেণিতে পরে তখন তার বাবা একটা কম্পিউটার নিয়ে আসে তাদের বাসায়। ছোট ছেলেটা তো আর জানত না যে কম্পিউটারটা কি। তাই সে অবাক হয়ে কম্পিউটারটা দেখতেছিল। না পারতো কম্পিউটার অন করতে না পারতো কম্পিউটার অপারেট করতে । কিছুদিন পর সে কম্পিউটার অন করা শিখল। তাই সে কম্পিউটার অন করে গেম খেলত। আর অন্য কিছু পারতো না। ছেলেটা হাল্কা-পাতলা টাইপ করা শিখল। এভেবেই কয়েক মাস তারপর বছর চলে গেল। তারপর যখন ছেলেটা পঞ্চম শ্রেণিতে এ উঠলো তার তখন সে একটা আঙ্কেল এর কাছ থেকে মাইক্রোসফট- ওয়ার্ড এ কপি-পেস্ট করা শিখল। তারপর থেকে ছেলেটার কম্পিউটারকে ভাল লাগা শুরু হল। তারপর থেকে ছেলেটা পুরোপুরিভাবে নিজেকে কম্পিউটারের মধ্যে ডুবিয়ে ফেলল। নানারকম কম্পিউটারের বিষয়বস্তু শেখার চেষ্টা করলো। কিন্তু বেশি কিছু শিখতে পারল না। কারণ কোনও গাইডলাইন পায়নি সে। এভাবে চলতে চলতে সে অষ্টম শ্রেণিতে এ উঠলো। এইবার সে কম্পিউটার সম্পর্কে কিছু নতুন তথ্য পেল। তথ্যটি হল কম্পিউটার প্রোগ্রামিং।
সে স্কুলেরই একজনের কাছ থেকে এই তথ্যটি পায় এবং তার কাছেই তার প্রোগ্রামিং এর হাতেখড়ি শুরু করে। সে পাইথন প্রোগ্রামিং শেখা শুরু করে। প্রথম প্রথম তার বুঝতে অনেক প্রব্লেমস হয়। কিন্তু সে হার মানেনি। চোখে বড় সপ্ন নিয়ে প্রোগ্রামিং চালিয়ে যেতে থাকে। কিন্তু বাসায় তাকে সাপোর্ট করা হয় নি। তাই সে বেশিদূর অগ্রসর হতে পারেনি। তাই বলে যে তার বাবা-মা তাকে সাপোর্ট করে না তা কিন্তু নয়। তার বাবা-মা তাকে অনেক ভালোবাসে। কিন্তু তাদের ভয় ছিল আমার ছেলেটা যদি এখন কম্পিউটারের পিছনে পাগল হয়ে যায়, তাহলে তার রেজাল্ট খারাপ হবে। দেখতে দেখতে জে. এস.সি পরীক্ষা চলে আসে। সে পরীক্ষা দেয় । পরীক্ষা শেষে সে কম্পিউটার বেসিক এর উপর একটি কোর্স কমপ্লিট করে। তারপর জে. এস.সি পরীক্ষার রেজাল্ট বের হয়। সে সাধারণ বিত্তি পায়। যা তার জন্য অনেক খুশির ছিল। তারপর সে জেদ করে তার নিজের একটা কম্পিউটার কিনে নেয়। এরই মাঝে সে প্রোগ্রামিং এর পাশাপাশি এইচ.টি.এম.এল আর সি.এস.এস শিখে ফেলে আর তার স্কুলের উপর ভিত্তি করে একটি ওয়েবসাইট ও বানায়। সে এটি প্রোজেক্ট হিসেবে তার স্কুলের বিজ্ঞান মেলায় উপস্থাপন করে। এতে তার বন্ধু মোঃ মুরছালিন ইসলাম বন্ধন তাকে হেল্প করে। কিন্তু সে প্রাইজ পায় নি। তারপর আর তার প্রোগ্রামিং করা হল না। টোটালি বন্ধ করে দিল। কেননা তার বাবা-মার সাপোর্ট সে পায়নি।  এভাবে করে ক্লাস ৯ এর শেষের দিকে সে বাংলাদেশ অলিম্পিয়াড ইন ইনফরমেটিক্স ( বিডিআইওআই ) সম্পর্কে জানতে পায়।
এটি একটি প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতা। যা প্রতিবছরই হয়ে থাকে। পুরো বাংলাদেশ থেকে যতজন কলেজ লেভেলের প্রোগ্রামার আছে তারা অংশ নেয় এই প্রতিযোগিতায়।  সে এই প্রতিযোগিতা করতে আগ্রহী হয় এবং এর জন্য অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন করে। কিন্তু একটা প্রব্লেম ছিল। এই প্রতিযোগিতা করার জন্য ২টি প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ এলাও করা হয়। একটি সি প্রোগ্রামিং আর একটি সি ++ প্রোগ্রামিং। কিন্তু সে তো প্যাইথন জানত। সুতরাং তাকে তো সি বা সি ++ এর মধ্যে যেকোন একটা প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ জানতে হবে। কোন গাইডলাইন ছিল না তার কাছে। তবুও সে হার মানেনি। প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার জন্য সি++ সেখা শুরু করলো । ইউটিউব থেকে আনিসুল ইসলাম এর ভিডিও দেখা শুরু করলো। একদিন তার কোচিং এর এক সভায় সে একজনের ওয়াইফাই পাসওয়ার্ড ক্রেক করে আনিসুল ইসলাম এর সি++ এর ৫০ টি ভিডিও ডাউনলোড করে ফেলে। তারপর সে যার ওয়াইফাই ব্যবহার করছিল সে (ওয়াইফাইধারী ) হয়ত বুঝতে পেরে তার হটস্পট অফ করে দেয়। অই ৫০ টি ভিডিও এর উপর ভর করে ছেলেটি সি++ শেখা শুরু করে। প্রস্তুতি নেয় প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতার। প্রতিযোগিতার তারিখ ছিল ১৮ই জানুয়ারী ২০২০। প্রতিযোগিতার ১০ দিন আগে থেকে সে সি ++ শেখা শুরু করে।  দিন আসে দিন যায় । দেখতে দেখতে প্রতিযোগিতার দিন চলে আসে। প্রতিযোগিতার জায়গা ছিল হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় , দিনাজপুর। সময় ছিল দুপুর ১২ টা। সে সময়ের মধ্যে সেখানে পৌঁছে। হালকা খাবার দেওয়া হয় দুপুরের খাবার হিসেবে। প্রতিযোগিতা শুরু হয় দুপুর ১ টায়। সময়কাল  ছিল ৪ ঘণ্টা (১ টা থেকে ৫ টা )। ৪ টি প্রব্লেমস ছিল। প্রতিটা প্রব্লেমের মান ১০০ করে মোট ৪০০ মার্কসের পরীক্ষা হয়। আর প্রতিটা প্রব্লেম সল্ভ করার সময় ছিল ১ ঘণ্টা। ছেলেটি ১১৯ পয়েন্টস করে।  এখন আপনাদের মনে প্রশ্ন আসতে পারে যে ১১৯  পয়েন্টস করে কিভাবে ? কারণ প্রতিটা প্রব্লেমের মান তো ১০০ করে । এ প্রশ্নের উত্তর পেতে হলে আপনাদের এখন প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতার নিয়মটা বলতে হবে। প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতার নিয়ম হল আপনাকে কিছু প্রব্লেমস দেওয়া হবে। কিন্তু প্রব্লেমস গুলর কিছু সাবটাস্ক ও আছে। যার জন্যও কিছু  পয়েন্টস আছে। ওগুলো মেলাতে পারলে আপনাকে পয়েন্টস দেওয়া হবে। তাই ছেলেটি ২ টা প্রশ্নের পুরোটা সল্ভ করতে না পারলেও সাবটাস্ক মিলিয়ে সে ১১৯ পয়েন্টস করে। দিনাজপুর থেকে মোট ৩২ জন প্রতিযোগিতায় রেজিস্ট্রেশন করে। কিন্তু মাত্র  ১৪ জন প্রোগ্রামার প্রতিযোগিতা করতে আসে। তার মধ্যে মাত্র ৫ জন শেষ পর্যন্ত ছিল। তার মধ্যে সেই ছেলেটিও ছিল। প্রতিযোগিতাটি ছিল পুরো বাংলাদেশের ডিভিশনাল রউন্ড এর। মানে বাংলাদেশের ৮ টি বিভাগের মধ্যে। প্রতিযোগিতা শেষে তারা একে অপরের সাথে আলোচনা করে। দিনাজপুর থেকে হাইয়েস্ট পয়েন্টস ছিল ১৮০। তারপর ছিল ১৫৮ তারপর ১১৯ এবং শেষে ১০০ পয়েন্টস। তার মানে ছেলেটি ১১৯ পয়েন্টস ৩ নম্বর পজিশনে  ছিল দিনাজপুর থেকে। এটাই স্বাভাবিক ছিল। ১০ দিনে কি আর আহামরি শিখত সে। যাই হক একটা অভিজ্ঞতা হয়েছে ছেলেটার। সে আর ৪০ পয়েন্টস পেলে ন্যাশনাল পর্যায়ে চলে যেত প্রতিযোগিতা করতে। সেই ছেলেটি আগামিতে একজন সফল প্রোগ্রামার হতে চায়।  আচ্ছা এতক্ষণ তো আপনারা ছেলেটার গল্প শুনলেন কিন্তু ছেলেটার নামটা এখন আপনারা জানেন না। তাই আপনাদের আর অপেক্ষা না করিয়ে ছেলেটার নামটা বলে দেই। এতক্ষণ আপনারা যেই ছেলেটার জীবনের গল্প শুনলেন সে আর অন্য কেউ নয় , আমি নিজেই । হ্যাঁ। আমি নিজেই সেই ছোট্ট ছেলেটি। এখন দশম শ্রেণিতে পড়ি। ২০২১ সালের এ স.এস.সি ব্যাচ। আমি প্রোগ্রামিং এর পাশাপাশি ওয়েব ডিজাইনও  করি। আমি পড়ালেখায় তেমন ভাল না। তাই আমার বাবা-মা আমাকে নিয়ে অনেক দুশ্চিন্তা করে। তাই আমাকে তারা কম্পিউটার  চালাইতে দেয় না। তবুও আমি কম্পিউটার চালাই। আমি তাদের কোন মতে বোঝাতে পারি না যে আজকের পুরো বিশ্ব এবং আগামিতে যে পৃথিবী আসতে চলেছে তা পুরটাই আইসিটি নির্ভর। এখন আপনারা বলতে পারেন কিভাবে আগামীর বিশ্ব আইসিটি নির্ভর। এই প্রশ্নের উত্তরে আমি বলতে চাই – আপনারা তো রোবট শব্দটির সাথে পরিচিত। আর অনেকে হয়ত এটাও শুনে থাকবেন যে বর্তমানে অনেক দেশে বড় বড় ইন্ডাস্ট্রিয়ালাইজড কোম্পনীগুলোতে রোবট দ্বারা কাজ পরিচালিত হয়। এরই ধারাবাহিকতায় অদূর ভবিষ্যতে সব দেশেই রোবট দ্বারা অনেক ঝুঁকিপূর্ণ কাজ করা হবে। আর এই রোবট যেভাবে কাজ করবে অর্থাৎ তাকে কাজ করানোর জন্য যে পদ্ধতি ব্যাবহার করা হবে তা হল প্রোগ্রামিং। প্রোগ্রামিং ছাড়া এটা সম্পূর্ণ অসম্ভব। কম্পিউটার যেমন সফটওয়্যার ছাড়া চলতে পারে না, ঠিক তেমনি রোবটও প্রোগ্রাম ছাড়া  চলতে পারে না। আর এই প্রোগ্রাম তৈরি করা হয় প্রোগ্রামিং ভাষা ব্যাবহার করে।  শুধু রোবটই নয় আপনারা যে গুগল অ্যাসিস্ট্যান্ট বা অ্যাপেল এর সিরি ব্যাবহার করেন যাকে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই ) বলা হয় তাও এই কম্পিউটার প্রোগ্রামিং দিয়ে চলে । আর গুগল অ্যাসিস্ট্যান্ট এর নির্বাহী কর্মকর্তা হলেন জাহিদ সবুর স্যার। যিনি গুগল এর ২৫০ জন প্রিন্সিপাল ইঞ্জিনিয়ার এর একজন বাংলাদেশি। প্রোগ্রামিং যে শুধু সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট বা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স তৈরির জন্য ব্যাবহার করা হয় তা নয়। এর অনেক ক্ষেত্র রয়েছে। আপনারা গুগল এ সার্চ দিলেই অনেক রেজাল্ট পাবেন এর উপর। তাই আমি এ ব্যাপারে লিখছি না।  আমি আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্র নিয়ে কথা বলতে চাই। আর তা হল সাইবার সিকিউরিটি। আপনার হয়ত বুঝে ফেলেছেন যে আমি কি বলতে চাচ্ছি। একটি দেশের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য অন্যদের হাত থেকে অর্থাৎ হ্যাকারদের হাত থেকে রক্ষা করা করাই হল সাইবার সিকিউরিটি । এই কাজটাকে এথিক্যাল হ্যাকিং বলে। আপনারা প্রোগ্রামিং শিখে অনেক ভালো ভালো পর্যায়ে যেতে পারেন। গুগল এর মতো বড় বড় প্লাটফর্ম এ চাকরি করতে পারেন। তোমরা যারা শিক্ষার্থী আমার এই লেখাটি পরছ তাদের  সবথেকে বড় প্রশ্ন যে ভাইয়া কে আমাকে বা আমাদের প্রোগ্রামিং শেখাবে ? এর সহজ উত্তর আমি দিতে চাই ফেসবুক এর জন্য যে মেগাবাইট তোমরা কেন তা দিয়ে ইউটিউব এ আনিসুল ইসলাম এর সি প্রোগ্রামিং এর ভিডিওগুলো দেখ। তার সি প্রোগ্রামিং এর উপর ২০৯ টি ভিডিও আছে। তোমরা ওগুলো দেখ। তাহলে তোমরা সি প্রোগ্রামিং এর একটা ভাল ধারণা পাবা। আর যদি প্রোগ্রামিং সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা লাগে তাহলে আমার সাথে যোগাযোগ করতে পারো। আমি আমার ইমেইল আইডি দিয়ে দেব শেষে। আরও একটি প্রশ্ন থাকতে পারে তোমাদের যে ভাইয়া আমার তো কম্পিউটার বা ল্যাপটপ নাই। আমি কিভাবে প্রোগ্রামিং করব? এর উত্তরে আমি বলতে চাই যে প্রোগ্রামিং করার জন্য যে কম্পিউটার বা ল্যাপটপ লাগবে এ চিন্তা তোমাদের মাথা থেকে বের করে দাও। তোমরা মোবাইলেও করতে পারো। এখন প্রত্যেক বাসায় বাসায় স্মার্টফোন আছে। তোমরা তাতে প্রোগ্রামিং করতে পারো। আর প্রোগ্রামিং শেখার যেকোনো বিষয়ে আমার সাথে যোগাযোগ করতে পারো।  আর যারা গার্জিয়ানরা আমার এই লেখাটি পড়তেছেন  আপনারা এতক্ষনে হয়ত বুঝেই ফেলেছেন বা ভাবছেন যে প্রোগ্রামিং দিয়ে কি কি করা সম্ভব।  আমি আমার এই লেখার মাধ্যমে আপনাদের বোঝাতে চাই যে প্রোগ্রামিং বর্তমান আর ভবিষ্যতের জন্য কত জরুরি। যতই হোক আপনারা আপনাদের সন্তানদের রেজাল্ট নিয়ে চিন্তিত থাকবেনই তা আমি জানি। আমার এক্সপেরিয়েন্স আছে। আমি বলিনি যে আপনাদের সন্তানদের সবসময় প্রোগ্রামিং এর উপর পরে থাকতে হবে। কিন্তু যাদের সন্তান ক্লাস ৬ বা ৭ এ পরে তাদের তো বোর্ড পরীক্ষার  কোনো চাপ নেই। তাই নয় কি ? তারা তো খুব সহজেই প্রোগ্রামিং করতে পারে। যত বড় হবে পড়ালেখার চাপ বাড়বে। একথা আপনি আর আমি খুব ভাল করেই জানি। তাই ওরা যদি ছোট বয়সেই প্রোগ্রামিং করে নিজেদের বেসিকটা কমপ্লিট করতে পারে আমার বিশ্বাস যে তারা ভবিষ্যতে অনেক ভাল পর্যায়ে যেতে পারবে। আর আপনাদের আমি অনুরোধ করছি তাদের বিভিন্ন অলিম্পিয়াডে অংশ নিতে উৎসাহিত করিয়েন। আমি সেই সুযোগ ছোটবেলায় পাইনি। কিন্তু ৯-১০ম শ্রেণিতে যত প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতা হয়েছে পার্ট নেওয়ার চেষ্টা করেছি। আপনাদের আগেই বলেছি  বাংলাদেশ অলিম্পিয়াড ইন ইনফরমেটিক্স ( বিডিআইওআই ) এর কথা। আমার জীবনের প্রথম প্রোগ্রামিং কন্টেস্ট। আপনারা আমাকে বিশ্বাস করতে পারেন। কারণ আপনার সন্তানরা ও তো আমারই ভাই-বোনের মতো। আমি তো কখনও তাদের খারাপ চাবোনা। আমারও এক ছোট ভাই আছে। আর আমার কথা আপনাদের বিশ্বাস না হলে আপনারা নিজেরা তদন্ত করতে পারেন এই বিষয়ে। ইউটিউব বা গুগলে আপনারা অনেক উদাহরণ পাবেন। আশা করি আপনারা আমার কথা বুঝতে পারছেন। প্রোগ্রামিং নিয়ে অনেক কথা আছে । আমি তো আর এই স্কুলে নাও থাকতে পারি। তাই যারা আমার প্রোগ্রামিং বিষয়ক লিখাগুলি পরতে ইচ্ছুক তারা আমার ব্লগসাইটে সেই লিখাগুলি পরতে পারেন। আমার ইমেইল আইডি হলঃ techtareqofficial@gmail.com . এই ইমেইল অ্যাড্রেস এ আপনারা আমার সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। আমি যতদূর পারি আপনাদের সাহায্য করার চেষ্টা করবো। আর বেশি কিছু লিখছি না। যদি সম্ভব এখন থেকে প্রতিবছর স্কুলের ম্যাগাজিনের জন্য লিখব আর আইসিটি জগতের নানা বিষয় সম্পর্কে অবগত করবো। আমার জন্য আপনারা দোয়া করবেন যাতে আমি আমার লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারি। আর দেশের মানুষের সাহায্য করতে পারি। ইনশাআল্লাহ এর পরের বছর অন্য বিষয়ের উপর লিখব। ভালো থাকবেন। আসসালামুয়ালিকুম সবাইকে………… ।     

No comments

Powered by Blogger.